বগুড়া জেলার সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ফাপোর ইউনিয়নের কৈচর ব্লকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আমন ধানের পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এনামুল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রতুল কুমার সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে যে সব বিষয় তুলে ধরেন তা হলো, আলোক ফাঁদ ব্যবহারে পরিবেশ ভাল থাকে, উৎপাদন খরচ কম হয়, কীটনাশক কম লাগে এবং বিপিএইচের উপস্থিতি সহজে বোঝা যায়। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আলো দেখলে বাদামী গাছ ফড়িং বা বিপিএইচ পোকা ছুটে এসে এক জায়গায় মিলিত হয়, ফলে সহজে এ পোকা ধ্বংস করা যায়। এই পদ্ধতি এলাকার কৃষকগণ ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভাল উপকার পাচ্ছে। এতে করে এলাকার কৃষকগণ উপকারি ও অপকারি পোকা সহজে চিনতে পারছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার কৃষকেরা যে কোন পোকা দেখলেই কিটনাশক দিতে হবে এই ধারনা যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে। পার্চিং আইল থেকে বেশ দূরে দেয়াই ভালো এবং জমির যে অংশে চলাচলের অসুবিধা আছে সেখানে স্থাপন করা ভালো। তিনি আরোও বলেন, পার্চিং টিকে চুনের দ্রবণে চুবালে অনেকটা ধবধবে সাদা দেখাবে এবং ক্ষেতের অনেক দূর থেকে দৃষ্টিগোচরে আসবে। চুনের পরিবর্তে সাদা পেইন্ট দিয়েও পার্চিংয়ের ওপরের অংশকে রঙ করা যাবে। আর মাটিতে পুতার অংশে আলকাতরা দিয়ে লেপে দিলে খুঁটির স্থায়িত্ব বেশি হয়। রঙ বা সাদা না করেও পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা যায়।
সভাপতি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ধান ক্ষেতে পার্চিং একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এ বছর মোট ৯৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে আর এ বছরও ১০০% জমিতে পার্চিং করার পরিকল্পনা আছে। প্রত্যেক মৌসুমে ধান ক্ষেতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পার্চিং করা হয়ে থাকে। আর এবছর কৃষকদের উদ্বদ্ধকরণের জন্য পার্চিং উৎসবের মাধ্যমে আগামীতে শতভাগ পার্চিং করার অনুরোধ জানান এবং কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আমন ধানের পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, উপসহকারী কৃষি অফিসার, কৃষক সহ প্রায় ১২৫ জন উপস্তিত ছিলেন।